শেষ কোথায়? (শুরুর কথা-দ্বিতীয় অধ্যায়)

"শেষ কোথায়" রচনার প্রথম অধ্যায়ে যে কথাগুলোর সূচনা করেছিলাম, তার সূত্র ধরে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের জন্য কতগুলো স্তরের চিন্তাভাবনা করে রাখা হয়েছে। আমি যেহেতু পুরো ব্যাপারটা ব্লগ আকারে লিখছি, সেক্ষেত্রে প্রজেক্টলিখনের বাধ্যবাধকতা নাও থাকতে পারে।
স্তরগুলির বিন্যাস কমবেশি সময় ও স্থানবিশেষে অন্যরকম হতে পারে, তবু মূল দুটো স্তম্ভের উপর এই মডেলটি দাড়িয়ে থাকবে। Application of human interface এবং technological intervention এই দুয়ের সমতুল্য ব্যবহার মডেল ধারণাটির মূল ভিত্তি।
কমিউনিটি লিভিং বহুকাল ধরেই হয়ে এসেছে, প্রতিবন্ধকতা থাকুক বা না থাকুক। এই সিন্ডিকেট ব্যুরো মডেলটির সঙ্গে কমিউনিটি লিভিং এর কোন বিবাদ নেই। এটুকু বলতে পারাই যায় যে, কমিউনিটি লিভিং এর জন্য যে প্রাথমিক খরচ প্রয়োজন পড়ে, প্যারেন্ট সিন্ডিকেট ব্যুরো ততটা খরচসাপেক্ষ নয়।
এই সিন্ডিকেট পাঁচ থেকে দশ কিলোমিটারের বৃত্তের মধ্যেই কাজ করতে পারে। যেহেতু এই বৃত্তের মধ্যেকার সমস্ত বিশেষ মানুষকে কেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে, সকলের অবস্থান একটি বৃত্তের মধ্যে কতগুলো নির্দিষ্ট বিন্দুর মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছে, তাই বৃত্তের বাইরে কোন অবস্থানে গিয়ে পরিষেবা দেওয়া সিন্ডিকেটের ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। সুতরাং প্রাথমিকভাবে অঞ্চলভিত্তিক সিন্ডিকেট গড়ে ওঠা দরকার।
আমি খুব জ্ঞানতই সোসাইটি শব্দটা ব্যবহার করছি না। BNI নেটওয়ার্কটা ফলো করুন। প্রায় 300 ধরনের প্রফেশনাল, 75 টি দেশে, আড়াই লাখ সদস্যসহ ছড়িয়ে আছে। একটা সর্বসাধারণ গ্রহণযোগ্য nomenclature, BNI এর ছাতার তলায় বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন ম্যানেজমেন্ট কমিটি নিয়ে chapter, অনেকটা এই ধরনের।
সুতরাং প্রাথমিকভাবে আমাদের যেটা করতে হবে, সেটা হলো অঞ্চলভিত্তিক ছোট ছোট সাতজনের প্যারেন্ট কমিটি বানানো। শুরুটা যেকোনো থেরাপি সেন্টার বা কোন কমন স্পেশাল এডুকেটরের কাছে কাজ করানো মা-বাবাদের নিয়েই হতে পারে। শুরুতেই বলবো, অটিজম ব্র্যাকেটের মধ্যে নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ করে দেবেন না। অটিজম বিশেষত্বের বাধ্যবাধকতা থাকুক, তবু কাজটা intellectually challenged ব্র্যাকেট এর মধ্যে আসুক। পাঁচ থেকে সাতবার চায়ের আসরে মিলিত হবার পরে এই কমিটিগুলির উদ্দেশ্য, কর্মসূচি, লক্ষ্য, গঠন এবং পরিচালন কমিটির প্রধানদের নাম উঠে আসবে। Conflict of interest এর প্রত্যেকটা ছোট ছোট বিষয় যদি চায়ের আসরগুলিতে প্রাথমিকভাবে আলোচনা না হয়, তবে আবেগের তাড়াহুড়োতে অনেক ভুল হয়ে যাবে। প্রাথমিক সাতজনই যদি parents না হন তবে গোজামিল দিয়ে statutory paper গুলো তৈরির ব্যাপারে এগোনো ঠিক হবে না। প্রত্যেকটা চায়ের আসরে আলোচনার বিষয়বস্তুগুলো লিপিবদ্ধ করলে, সেখান থেকেই memorandum, bye laws বেরিয়ে আসবে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, parents দের প্রত্যেকেরই বাড়িতে, সমাজে, চাকরির জায়গায় মারাত্মক চাপ আছে। সমাজসেবা তাদের শোভা পায় না। খুবই লাচার অবস্থায়, বাঁচার তাগিদে এগিয়ে আসা। আজ থেকে পঁচিশ, ত্রিশ বছর বাদে যখন আমরা কেউ থাকবো না, ঠিক তখনকার ambiance চিন্তা করে এগোন। তাড়াহুড়োর কোন ব্যাপার নেই, কারণ এটা আবেগের বা এক দিনের কাজ নয়, বহুদিন ধরে sustain করতে হবে। সুতরাং ধীরেসুস্থে, জেনেবুঝে, আলোচনা করে এগোনোই ভালো। একটি নাম অবশ্যই ঠিক হবে। নামটি মৌলিক হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। তিন শব্দের এই নামকরণে প্রথম শব্দটি জায়গার নাম, যেমন "কোন্নগর", বাকি দুটি শব্দই অবশ্যই "প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন"। এই প্যারেন্ট অর্গানাইজেশান কথাটা কমন থাকলে একটা unityর বার্তা যাবে।
এর পরের কাজ হলো একটি common gmail account তৈরি করা। যেমন, konnagarparentorganisation@gmail.com বা konnagarpo@gmail.com. এই জিমেইল এর পাসওয়ার্ড সব প্যারেন্ট এর কাছেই থাকবে এবং প্রত্যেকের মোবাইলেই লোড করে দেওয়া হবে। এই জিমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে একটা google keep, google drive, google doc, google sheet, CamScanner  থাকবে, এগুলো অ্যাপ, প্রত্যেকের মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আমরা যে সময়টায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ব্যয় করছি, ঠিক সেইসময় আমরা কিপ, ড্রাইভ, শীট নিয়ে কাজ করব। আমরা কি কোন কাজ করছি বা করব তার একটা লিস্ট প্রত্যেকের মোবাইলে google keep এর মাধ্যমে নজরে থাকবে। প্রত্যেক বাবা মা-ই তাদের কাজের মধ্যেই নিজের চিন্তাভাবনা google keep এ লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারবেন, এবং আলোচনার আসরে সেগুলিকে একত্রিত করা যেতে পারে। একশ টাকা একটা মেম্বারশিপ ফি রাখা যেতে পারে।
আর একটা কথা বিশেষভাবে মাথায় রাখা প্রয়োজন যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম, ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, প্রয়োজনীয় উপার্জন করতে পারবে না। অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্ম উপার্জনহীন বা সীমিত উপার্জনক্ষম থাকবে। সুতরাং আমাদের নিজস্ব কাজ বা উপার্জনের দিকে কোন ভাবে অবহেলা করলে চলবে না। পারলে দু'জনের উপার্জন করে দিয়ে যেতে হবে। প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন কারও উপার্জনের জায়গা নয়, এই কথাটা বুঝে নিতে হবে।
তবে কাজটা কখন করবো?
গাড়িতে চলতে চলতে, বাড়ির সোফায়, রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে google keep, drive, doc খুলে একটু নিজের মনের কথা লিখে রাখলেন, google sheet এ প্রত্যেক প্যারেন্টের নাম, ঠিকানা, ডেজিগনেশন, ডেট অফ বার্থ, অ্যাড্রেস লিখে একটা সিট রেডি করলেন, বা google doc একটা forwarding চিঠি টাইপ করে রাখলেন, এটাই যথেষ্ট।
প্যারেন্ট অর্গানাইজেশনগুলোর প্রথম কাজ হবে early intervention এর বিষয়টা দেখা। ধরে নেওয়া যাক, একটা লোকেশনে পনেরোটা প্যারেন্ট ফ্যামিলি এক জায়গায় হলেন। একজন স্পিচ থেরাপিস্ট, একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, একজন সাইকোলজিস্ট, একজন স্পেশাল এডুকেটর-এর সঙ্গে কথা বললেন। তিনি যেদিন সময় দিতে পারবেন, সেইদিন সমানভাবে ছয় বা সাতটা পিরিয়ডে ভাগ করুন। বৃহস্পতি থেকে সোমবারের মধ্যে এইরকম ভাবে প্রত্যেক থেরাপিস্টের বুকিং স্লট কনফার্ম করুন। একটা দুই কামরার ফ্ল্যাট দরকার। থেরাপিস্টদের পারিশ্রমিক, ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া, বিদ্যুতের বিল, আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মাসে ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা ব্যয় থাকবে। তার অর্ধেক অংশ ফিক্সড টিউশন ফি হিসেবে সবার কাছ থেকে সমান ভাগে নেওয়া হবে এবং বাকি থেরাপির বুকিং অনুযায়ী আংশিকহারে নেওয়া হবে। অবশ্যই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে সোমবার পর্যন্ত সিডিউল রেডি থাকবে। শনি রবি যাতে প্যারেন্টরা উপস্থিত থাকতে পারে। টাকা পয়সা নেওয়া বা হিসাব রাখার জন্য যেকোনো একজন বেনেফিশিয়ারির ব্যাংক একাউন্টকে নির্দিষ্ট করে, তিন বছরের জন্য রেসোলিউশন নিতে পারেন, কাজটা আগে দরকার, সোসাইটি তৈরি করা, ব্যাংক একাউন্ট রেডি করা এইসব কাজে অযথা সময় চলে যায়। মূল যে ইন্টারভেনশন সেটাই পিছনে পড়ে যায়।
এই প্রোগ্রামে activity of daily living এর দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। Pre-vocational এর কিছু কাজ থাকে। বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায় যদি কিছু সম্পূর্ণ তৈরি করতে পারে। যেমন গুঁড়ো মসলা। একটা ওজন মেশিন, একটা মিক্সি, একটা সিল করার জন্য থার্মাল সিলিং মেশিন, খুব বেশি হলে হাজার ছয় ইনভেস্ট করলেই সব রকম মসলা প্যাকিং করে রেডি করা যায়। সেই মসলা কিনলে প্যারেন্টদের দামেও কম পড়বে এবং বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে না।
সবচেয়ে আগে দরকার অনুভূতি এবং একাত্মতা। একান্নবর্তী পরিবারগুলো ঠিক যেমন করে থাকে। তাদের কোন সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন, কমন ব্যাংক একাউন্ট, PWD রেজিস্ট্রেশন, ন্যাশনাল ট্রাস্ট, FCRA, fund raising দরকার হয় না। একজনকে বড়দাদা বলে তো মানতেই হবে। এই দাদাটি নির্দিষ্ট না হলে এবং তার প্রতি বিশ্বাস না এলে একসঙ্গে থাকা খুব মুশকিল। আমার সঙ্গে তোমার হাজারটা conflict of interest issue, আমি তুমি আইন করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করলাম, কিছুদিনের মধ্যে আইনসমেত সব উপড়ে যাবে। আমাকে যদি আমার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়, আমার অটিস্টিক সন্তানকে তুমি অন্তত সাত দিন দেখভাল করে রাখতে পারবে, এই বোধটা না এলে কমিউনিটি লিভিং বৃথা। এই জন্য প্রচুর মিটিং দরকার হয়, প্রচুর সময় খাওয়ানোর দরকার হয়, এক বছরের মধ্যে সবকিছু করে ফেলবো, উৎসাহ শেষ হয়ে যেতেও ঠিক এক বছরই লাগবে। "আমি থেকে আমাদের" এই স্তরে উন্নীত হতে গেলে পাঁচ বছরের একটা লকিং পিরিয়ড থাকা খুব জরুরী। তারপর সব আইন, ফর্মালিটি গড়িয়ে যাবে।
যে শিডিউলের কথা বলছিলাম, সেটাকে মেনটেন করতে হবে google sheet এ। একজন মা rotationally দায়িত্বে থাকবেন সিডিউল অনুযায়ী প্রত্যেকটা পিরিওডকে ঠিকঠাক করাবার। এক একটা সিডিউল কমপ্লিট হতে থাকবে, ফন্ট এর কালার গ্রিন হতে থাকবে। সেটা সমস্ত প্যারেন্ট তার মোবাইলে দেখতে পাবেন। কোন কনফিউশন থাকলে সঙ্গে সঙ্গে আপনি গুগোল কিপ এ কমেন্ট দিতে পারবেন। আপনিও গুগল শীট দেখে থেরাপি সিডিউলে উপস্থিত থাকতে পারবেন। অবশ্যই প্রতিটা শীট বা অন্যান্য ডকুমেন্ট পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড থাকবে।
প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন জন্ম শংসাপত্র, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, আধার কার্ড ইত্যাদি যে জিমেইল অ্যাকাউন্টটা তৈরি হয়েছিল, তার সংশ্লিষ্ট ড্রাইভের ফোল্ডার করে আপলোড করে রাখুন। পারলে নিকটবর্তী কোন ন্যাশনাল ট্রাস্ট রেজিস্টার অর্গানাইজেশান থেকে বাচ্চাদের নাম নথিভুক্ত করে নিরাময় ইনসিওরেন্স করে রাখুন। ইনসিওরেন্স এর যে টাকাটা পাওয়া যায়, সেইটা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে দিল্লির অফিসে পাঠিয়ে বাচ্চা বা প্যারেন্ট এর একাউন্টে টাকাটা আসার ব্যবস্থা করুন। যাদের আর্থিক অসুবিধা আছে তাদের জন্য মানবিক পেনশন স্কিম এর ব্যবস্থা করুন। একসঙ্গে পনেরো জন বাচ্চা থাকলে ব্যাংক, পোস্ট অফিস, নিরাময়, ন্যাশনাল ট্রাস্ট, সরকারি অফিস সবাই আলাদা গুরুত্ব দেয়।
অন্ততপক্ষে এক বছর একসঙ্গে এই কাজগুলি করার পরে edistrict.wb সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন এর চিন্তাভাবনা করতে হবে। অর্গানাইজেশন এর নাম দিয়ে মেমোরেন্ডাম এবং বাই ল তৈরি হয়ে থাকবে। সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্ট, ট্রেজারার নির্দিষ্ট করতে অসুবিধা হবে না। সংস্থার একটি প্যান কার্ড করা জরুরি। সেই প্যান কার্ড দিয়ে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন। ইনকাম ট্যাক্স এর রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন।
প্রথম দিকেই ফান্ডের পেছনে দৌড়ানো বৃথা। আপনার নিজস্ব catch দিয়ে যে ফান্ড আসছে সেইটা ডোনার কিন্তু অর্গানাইজেশানকে দিচ্ছেন না। আপনাকে দিচ্ছেন। আপনারও মনে হতে পারে আমি ফান্ডটা আনলাম। কিন্তু সবাই না এগিয়ে আসলে আপনি একা কিছুই করতে পারবেন না।
আমার সমস্তটাই ব্লু প্রিন্ট করা আছে। কল্যাণী শহরকে কেন্দ্র করে কাজ শুরু হয়ে গেছে। দয়া করে আপনারা নিজেরা নিজেরা, নিজেদের জায়গায় শুরু করুন। সবচেয়ে আগে দরকার আমরা একসঙ্গে থাকবো কিনা সেটা ঠিক করা। নিজের পিতৃপুরুষের ভিটে ছেড়ে বাচ্চার জন্য স্থান পরিবর্তন, যেখানে একটু ভালো কাজের কথা শোনা যাচ্ছে, সেইখানে মাস তিনেকের জন্য ছুটে যাওয়া, উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম দিশাহীন ভাবে সংস্থায় সংস্থায় ঘুরে বেড়ানো, খুব কাজের কথা নয়। সত্যি কথা বলতে, আবেগে শুরু করলেও টিকিয়ে রাখা খুব মুশকিল। সেই জন্য দশ কিলোমিটার এর গণ্ডিটা খুব প্রয়োজনীয়। কথায় কথায় দেখা হওয়াটা খুব জরুরী।
একটা কথা মাথায় রাখতেই হবে যে, আমরা কেউ সোশ্যাল এন্টারপ্রেনার নই। সন্তানের কারণেই একত্রিত হওয়া, এত কিছু। আমরা এমন একটি সোশ্যাল অরগানাইজেশন বানাবো, যেটা বন্ধ হলে আমরা খুশি হবো। আমার সন্তানের যদি এই সোশ্যাল সাপোর্ট দরকার না থাকে, সেই দিনটাই কিন্তু আমরা দেখতে চাই। অরগানাইজেশন আমার জীবিকা নয়, সন্তানের জীবন।
হাজার কথার মরন হলে যখন হৃদয় কথা বলবে তখন আপনার রক্তজল করা পয়সার দরকার পড়বে। শুরুর দিকে নয়। সন্তানের জন্য ঠিক যেটুকু টাকা তুলে রাখেন সেটুকু দিলেই যথেষ্ট। কাউকে নকল করার দরকার নেই। কারণ আপনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পিতা বা মাতা।

শুরুর দিকের কিছু কথা আলোচনা করলাম। এই পর্যায়ে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন, pwd রেজিস্ট্রেশন, ন্যাশনাল ট্রাস্ট, বা অন্য কোন সংস্থার সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন নেই। নিজের বাচ্চাকে পেট ভরে থেরাপি করাবো, কিছু হাতের প্রাথমিক কাজ শেখাব এবং জীবনে বেঁচে থাকার জন্য নিজের কাজগুলো যাতে নিজেই করতে পারে তার ব্যবস্থা করব। 

Comments

Popular posts from this blog

ছাকনি (আবার অটিজম!)

Is autism spectrum disorder manageable through therapies, see the hopes

আমার অটিস্টিক সন্তান কবে কথা বলবে?