"ইনক্লুশন"-অসুবিধাটা ঠিক কোথায়?
প্রথম সারির কাছে "ইনক্লুশন" নিজের privacy sacrifice করে একটু schedule বের করা, আর পিছনের সারির কাছে "ইনক্লুশান" হল "আমায় একটু জায়গা দাও"।
"ইনক্লুশান" মানে পিছিয়ে পড়াকে সঙ্গে নিয়ে চলা। উচ্চবর্ণ-নমশূদ্র, সাদা-কালো, উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত, গ্রাম্য-শহুরে ইতিহাস বহু "ইনক্লুশনে"র সাক্ষী। সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়াকে টেনে তোলার চেষ্টা।
"ইনক্লুশান" শব্দটির মধ্যে অগ্রগণ্য অংশের দম্ভ রয়েছে। পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রতি করুণা রয়েছে। অনুসরণকারী কুণ্ঠা রয়েছে।
"ইনক্লুসিভ ইন্ডিয়া" বর্তমান সময়ের একটি ভাল এজেন্ডা। সরকার কিন্তু আন্তরিক। বিদ্যালয়ের স্বীকৃতিকরনের সময় "ইনক্লুশান" এর বাধ্যবাধকতায় অনেক স্কুল কর্ণধারেরই কপাল ঘামে। "ইনক্লুসিভ এডুকেশন" - "ইনক্লুসিভ এম্প্লয়মেন্ট" - "ইনক্লুসিভ কমিউনিটি" সরকারের সদিচ্ছার অভাব নেই। তাই বাধ্যবাধকতা বেড়েছে। প্রতিবন্ধী মানুষদের পিছিয়ে পড়া ধরে নিয়েই টেনে তোলার চেষ্টা।
যদি "ইনক্লিউশন" এর নামে তেলে-জলে মিশই খাওয়াই, তবে আবার সংরক্ষণের দাবি তুলব কেন? দুটো তো পাশাপাশি চলতে পারে না। ইতিহাস কিন্তু বলে সমস্ত রকমেরই ইনক্লিউশনের উদ্দেশ্যই সংরক্ষনে গিয়ে সমাধি প্রাপ্ত হয়েছে।
"ইনক্লিউশন" তখনই সম্ভব যখন একে অপরকে মেনে নিতে পারবে, বুঝতে পারবে, ভালবাসতে পারবে। ইনক্লুশান প্রতিবন্ধীদের অপ্রতিবন্ধী করে না, কালোকে সাদা করে তোলে না, গরিবকে ধনী করে দেয় না, তবুও সমাজসংস্কারের অস্ত্র হিসেবে "ইনক্লুশান"কে ব্যবহার করা হয়। সামাজিক স্তর বা বিভেদকে মাথায় রেখে "ইনক্লুশান" এর কথা ভাবা যায় না।
সমস্যাটা "মধ্যমে"র। না পারে তারা "অধম" হতে, না পারে তারা "উত্তম" এ উন্নীত হতে, "অধমে"র সংস্পর্শ সন্তর্পনে বর্জন করে "উত্তমে"র কাছাকাছি পৌঁছাতে "ইনক্লিউশন" এর কথা বলেন। এই "ইনক্লুশান" আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করে। পিছিয়ে পড়াকে পরগাছা করে তোলে।
অটিজমের "ইনক্লুশান" "কাঁঠালের আমসত্ত্ব" এর মত। বক কে নিমন্তন্ন করে থালায় খেতে দেওয়ার মত। যে আপনভোলা মানুষটা নিজেকে নিয়েই ভালো আছে, তাকে "ইনক্লুশান" যন্ত্রণা দেয়। না পারে ব্যাপার স্যাপার বুঝতে, না পারে নিজের সমস্যাকে বোঝাতে।
"চলো এবার আমরা ইনক্লুসিভ হব" এই নেশা দুই একটা রামচিমটি বা একধাক্কাতেই চটকে যায়।
"চলো এবার আমরা ইনক্লুসিভ হব" এই নেশা দুই একটা রামচিমটি বা একধাক্কাতেই চটকে যায়।
দু হাজার স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটে পেনশনার মায়ের একটা কোনা জোটে না, "ইনক্লুসিভ ইন্ডিয়া ওয়ার্কশপ" থেকে বেরিয়েই অ্যাডভোকেটের কাছে ডিভোর্স কেসের নেক্সট ডেট আনতে যেতে হয়, সেখানে আবার কি না "তেতুল পাতায় নজন"।
Comments
Post a Comment