অটিজম কি বড় হয়ে গেলে সেরে যায় (#3)

শুচিবায়ুগ্রস্থতার সারে না, সন্দেহপ্রবণতা সারেনা, আলস্য সারে না, অহংকার-আত্মপ্রচারের প্রবণতা সারে না, কামমনোবৃত্তি সারে না, তবে অটিজম কেন বড় হলে সেরে যাবে?
শিশু কথা বলছে না, এর অর্থ এই নয় যে তার অটিজম আছে এবং তাকে তাড়াতে হবে। বুঝতে হবে মস্তিষ্কের যে নিউরন কোষ গুলি "কথা বলতে সাহায্য করে" তাদের মৃত্যু ঘটেছে। কোষগুলিতে নিজস্ব কাজ করবার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সৃষ্টি হচ্ছে না।
অটিজম শনাক্ত করার সময় যে স্কেল দিয়ে মাপ জোক করা হয়, তার পুরোটাই নঙর্থক ধারণায় ভর্তি। চোখের দিকে না তাকানো, একই কাজ বারবার করা, চঞ্চলতা, একই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবার চেষ্টা করা, অটিজমের সব বিশেষত্ব গুলোই না বাচক পটভূমিকাতেই দেখা হয়। যখন অটিজম শনাক্ত হয়, ততদিনে জিনের বৈকল্য, মনের বৈকল্যে পরিণত হয়। পরিমাপের মাপকাঠিগুলো মনের বৈকল্যের অনুপাতে পরিমিত হয়ে যায়।
বিশুদ্ধ অটিজম খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না আজকাল। যদি দেখতে পেতেন, তাকে আরো জাপ্টে ধরতেন, তাড়াতে চাইতেন না। সত্যিকারের অটিস্টিক মানুষের একাগ্রতা, লগন, লেগে থাকার প্রবণতা, ইচ্ছা শক্তি, কল্পনা, নিজের কাজের প্রতি ফোকাস দেখলে অটিজমকে সম্মান করতেন। শিশু বড় হলে সারার কথা না বলে বাড়ার কথা বলতেন।
নতুন বাবা মার কাছে যখন অটিজম এসে পড়ে তখন অনেক দেরী হয়ে যায়। অটিজম ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা একাকার হয়ে যায়। মস্তিষ্কের প্রধান প্রধান নিউরন কোষ গুলোর মৃত্যু ঘটে। শিশুর কথা বন্ধ হয়ে যায়, চঞ্চলতা বেড়ে যায়। এটা অসুস্থ অটিজম। এর পেছনে দায়ী বাবা মারা ই। আমিও।
সংস্থিতা র অটিজম শনাক্তকরণের প্রথম স্তরে quality baby তৈরি করার আশায় অনাবশ্যক ওষুধগুলো meticulously না খাওয়াতাম, তবে হয়তো একটা সুন্দর অটিজম পেতাম, অসুস্থ অটিজম নয়।
শনাক্তকরণের প্রথম স্তরে ইন্টারভেনশন এর কথা বলা হয়। তার একমাত্র কারণ যা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তার কথা না ভেবে আগে যাতে ক্ষতি না হয় তার দিকে নজর দেওয়া। মৃত নার্ভ কোষগুলোর তো পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়! যারা বেঁচে আছে তাদের নতুন করে না মারলেই হলো। এইখানেই ইন্টারভেনশন এর প্রয়োজনীয়তা।
"বাচবো না মরবো" এইরকম কোষগুলোকে বাঁচিয়ে তোলা, আর যেটুকু হারিয়ে গেল কিছু "কৃত্রিম উপায়ে" তার বিকল্প সন্ধান করা। "ছবি" ও "রুটিন জীবন" হলো অটিজম মানুষের কাছে এক এবং একমাত্র কৃত্রিম উপায়। এই grammarটা বুঝে নিতে পারলেই আপনার সন্তান দাঁড়িয়ে যাবে।
কিন্তু তার থেকেও বড় কথা শিশুর চারপাশের পরিবেশকে বিষমুক্ত রাখা। Pesticide, insecticide, germicide, stabilizer, permitted essence, colour এগুলো ছাড়া যে খাবার পাওয়া যায় তার দাম একটু বেশি হয়। ভারতে organic নামের একটি কোম্পানি কিছুটা চেষ্টা করছে। যারা food technologist বিষয়টি খুব ভালোভাবে ই জানেন। অটিজমের এই যে বিষ-শোষণ ক্ষমতা, সচেতনতার ফলে কিছুটা তাদের কানে গিয়েও পৌঁছেছে। বাকিটা বাবা-মাকে হতে হবে। দাঁতের ওপারে কি পাঠানো হবে তার নিয়ন্ত্রণই অটিজমকে মানসিক বৈকল্য থেকে রক্ষা করবে। এইটাই সেরে ওঠার মূল চাবিকাঠি।

Comments

Popular posts from this blog

Over involvement with Autism

Tab based education to the autistics

Twelve points post covid-19 solution measures to be taken for the persons with disabilities