আমার অটিস্টিক শিশু কবে কথা বলবে (#2)
অটিজম যখন বুঝতে পারা যায় তখন তাকে অনেকটা কথা বলার সমস্যা বলে মনে হয়। জীবনের সিঁড়িগুলো একধাপ একধাপ করে উঠতে উঠতে হঠাৎ যেন "কথা বলায়" এসে থমকে যায়। শিশু প্রথমে উপুড় হতে শিখলো, তারপর উঠতে শিখলো, তারপর হাঁটতে শিখলো, তারপর কিছু কিছু কথা বলতে শিখলো। আপনি যা বলছেন, সেটাই উত্তর হচ্ছে। আপনি "শুনতে পেলুম" বললে সে "পোস্তা গিয়ে" বলছে, আপনি "তোমার না কি" বললে সে "মেয়ের বিয়ে" বলছে। আধো আধো। তাও সেটাও একদিন কেমন করে হারিয়ে যায়। শেখা কথাগুলো আর শুনতে পাওয়া যায় না। কখনো কখনো তো কথাই শুরু হয় না।
তিন বছরের আশেপাশে এইরকম ধরনের লক্ষণগুলি বাবা-মাকে অটিজম জগতে নিয়ে এসে ফেলে। দেখেছি বাচ্চার কথা বলার সমস্যা ধরা পড়ার পর, প্রথমেই শোনার সমস্যা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। "বেরা" টেস্ট। কারোর শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা ধরা পড়েনি, তবু নাকি "বেরা" রুটিন টেস্ট। রুটির সঙ্গে রুটিনের মিল আছে নাকি জানিনা।
সাদা বাংলায় প্রেসক্রিপশনে অটিজম লিখতে অনেকেরই হাত কাঁপে। যেন ফাঁসির হুকুম দিচ্ছে। "অটিজম এর মতো", "এডিএইচডি", "বর্ডার লাইন", "সামান্য ট্রেটস আছে" ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কত কথা বলা হয়। সময়টা নষ্ট হয়ে যায়। যখন বাবা মা'রা সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বুঝতে পারেন তখন অটিজম মধ্যগগনে।
কৈশোর উত্তীর্ণ অথবা প্রাপ্তবয়স্ক অটিজম মানুষেরা প্রায় সবাই কথা বলেন বা নিজের ভাব প্রকাশ করতে পারেন। স্পিচথেরাপি করালে আরো একটু ভালো করে পারে। একদম কথা বলতে পারে না এরকম অটিজম মানুষও আছেন। স্পিচথেরাপি কোন ম্যাজিক নয় যে, অ্যান্টিবায়োটিকের মতো এক সপ্তাহের কোর্স কমপ্লিট করলেই শিশু কথা বলবে। কিছু বিশেষ প্রক্রিয়া বা প্রটোকল যেগুলো রেজিস্টার্ড থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে, অন্ততপক্ষে দু'বছর বাড়িতে এবং থেরাপিস্ট এর সামনে করে যেতে হবে। ইউটিউব ভিডিও দেখে বা অন্য বাবা-মা'র কাছে আবছা আবছা শুনে, আনাড়ির মতো করতে গেলে ফল তো পাওয়া যায় না, উল্টে বাচ্চার হাইপারঅ্যাকটিভিটি বাড়ে।
কথা বলা শুধুমাত্র শব্দ উচ্চারণ করা নয়। "বাবা", "দাদা", "খাব" বললেই কিন্তু বাচ্চার কথা বলা হয়ে গেল না, অন্তত অটিজম বাচ্চার তো না। মনের ভাবকে কথায় গুছাতে হবে এবং ঠিক জায়গায়, ঠিক পরিবেশে, ঠিক কথাটা বলতে হবে। সুতরাং তখন আসে ল্যাংগুয়েজ থেরাপি। বাক্য গঠন, শব্দের অর্থ জানা, সবকিছু।
কিছু কিছু অটিজম ছেলে মেয়েকে দেখেছি, গানের বা বিজ্ঞাপনের কথাকে বারবার একই ভাবে বলে চলে। এরকম শব্দগুলো বললে মুখের বিভিন্ন অংশে সুড়সুড়ি তোলে। বাচ্চার বেশ লাগে। প্রেসার কুকার যেমন ভিতরের প্রেসারকে নরমাল অবস্থায় আনার জন্য সিটি বাজায় অনেকটা সেইরকম। এইটা সেনসরি ওভার লোডের এক্সপোজার। পিতা মাতা, যারা জানে তারা ইগনোর করেন, আর যারা জানেন না তারা চিৎকার করেন। এই সঠিক তথ্যগুলো একমাত্র দিতে পারেন, যে কোন রেজিস্টার্ড প্রফেশনাল। সন্তানের থেরাপি এখানে বাবা-মা'রও থেরাপি।
তিন বছরের আশেপাশে এইরকম ধরনের লক্ষণগুলি বাবা-মাকে অটিজম জগতে নিয়ে এসে ফেলে। দেখেছি বাচ্চার কথা বলার সমস্যা ধরা পড়ার পর, প্রথমেই শোনার সমস্যা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। "বেরা" টেস্ট। কারোর শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা ধরা পড়েনি, তবু নাকি "বেরা" রুটিন টেস্ট। রুটির সঙ্গে রুটিনের মিল আছে নাকি জানিনা।
সাদা বাংলায় প্রেসক্রিপশনে অটিজম লিখতে অনেকেরই হাত কাঁপে। যেন ফাঁসির হুকুম দিচ্ছে। "অটিজম এর মতো", "এডিএইচডি", "বর্ডার লাইন", "সামান্য ট্রেটস আছে" ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কত কথা বলা হয়। সময়টা নষ্ট হয়ে যায়। যখন বাবা মা'রা সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বুঝতে পারেন তখন অটিজম মধ্যগগনে।
কৈশোর উত্তীর্ণ অথবা প্রাপ্তবয়স্ক অটিজম মানুষেরা প্রায় সবাই কথা বলেন বা নিজের ভাব প্রকাশ করতে পারেন। স্পিচথেরাপি করালে আরো একটু ভালো করে পারে। একদম কথা বলতে পারে না এরকম অটিজম মানুষও আছেন। স্পিচথেরাপি কোন ম্যাজিক নয় যে, অ্যান্টিবায়োটিকের মতো এক সপ্তাহের কোর্স কমপ্লিট করলেই শিশু কথা বলবে। কিছু বিশেষ প্রক্রিয়া বা প্রটোকল যেগুলো রেজিস্টার্ড থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে, অন্ততপক্ষে দু'বছর বাড়িতে এবং থেরাপিস্ট এর সামনে করে যেতে হবে। ইউটিউব ভিডিও দেখে বা অন্য বাবা-মা'র কাছে আবছা আবছা শুনে, আনাড়ির মতো করতে গেলে ফল তো পাওয়া যায় না, উল্টে বাচ্চার হাইপারঅ্যাকটিভিটি বাড়ে।
কথা বলা শুধুমাত্র শব্দ উচ্চারণ করা নয়। "বাবা", "দাদা", "খাব" বললেই কিন্তু বাচ্চার কথা বলা হয়ে গেল না, অন্তত অটিজম বাচ্চার তো না। মনের ভাবকে কথায় গুছাতে হবে এবং ঠিক জায়গায়, ঠিক পরিবেশে, ঠিক কথাটা বলতে হবে। সুতরাং তখন আসে ল্যাংগুয়েজ থেরাপি। বাক্য গঠন, শব্দের অর্থ জানা, সবকিছু।
কিছু কিছু অটিজম ছেলে মেয়েকে দেখেছি, গানের বা বিজ্ঞাপনের কথাকে বারবার একই ভাবে বলে চলে। এরকম শব্দগুলো বললে মুখের বিভিন্ন অংশে সুড়সুড়ি তোলে। বাচ্চার বেশ লাগে। প্রেসার কুকার যেমন ভিতরের প্রেসারকে নরমাল অবস্থায় আনার জন্য সিটি বাজায় অনেকটা সেইরকম। এইটা সেনসরি ওভার লোডের এক্সপোজার। পিতা মাতা, যারা জানে তারা ইগনোর করেন, আর যারা জানেন না তারা চিৎকার করেন। এই সঠিক তথ্যগুলো একমাত্র দিতে পারেন, যে কোন রেজিস্টার্ড প্রফেশনাল। সন্তানের থেরাপি এখানে বাবা-মা'রও থেরাপি।
Comments
Post a Comment